ইউএসএইড এর বিলবোর্ডের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য নিয়ে ভুল শিক্ষা; যার সংশোধন কাম্য

ইউএসএইড এর বিলবোর্ডের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য নিয়ে ভুল শিক্ষা; যার সংশোধন কাম্য

Spread the love

কক্সবাজারে বিকেল বেলা সৈকতের পার দিয়ে হাটতে বের হওয়াটা যেন আমার নিয়মিত অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। এক পাশে সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ এবং অন্যপাশে সবুজ পাহাড়। এরকম সৌন্দর্য আসলেই বিরল। অন্তত বাংলাদেশে তো বিরলই। তবে আমার এই ঘুরে বেড়ানোটা শুধুমাত্র মন রিফ্রেশমেন্ট করার জন্য নয়। আমি ঘুরে বেড়াই প্রকৃতিকে বোঝার জন্য। প্রকৃতি কিভাবে কাজ করে তা দেখার জন্য। প্রকৃতির এক উপাদান কিভাবে আরেক উপাদানের উপর নির্ভর করে টিকে আছে তা খুব কাছ থেকে বুঝার জন্য। কিভাবে জেলেদের ফেলে যাওয়া মাছ সমুদ্রের থেকে উঠে আসা কাকড়াদের খাবার হচ্ছে তা দূর থেকে তাকিয়ে দেখি। কিভাবে সমুদ্র থেকে ভেসে আসা সি স্প্রে গিয়ে লাগছে কয়েক কিলোমিটার দূরের গাছের পাতায়।

কক্সবাজার হল একইসাথে পাহাড় এবং সমুদ্রের শহর । এখানে প্রকৃতি গড়ে উঠেছে সে শিক্ষা যেমন পাওয়া সম্ভব ঠিক সেরকম মানুষের হাতে প্রকৃতি কিভাবে ধংস হচ্ছে সেই শিক্ষাও নেওয়াটাও সম্ভব। ছবিটি তুলেছেন প্রবন্ধ লেখকঃ সাওয়াবুল্লাহ্ হক। ছবিটি তোলা হয়েছে কক্সবাজারের কলাতলী বিচ থেকে।

যে পাতায় জিহ্বা লাগালে সমুদ্রের পানির নোনতার স্পর্শ স্পষ্ট বুঝা যায়। এখানে এরকম এক বায়োডায়ভার্সিটি গড়ে উঠেছে যা অনেক সময় কয়েক কিলোমিটার পর পরই পরিবর্তিত হয়। সমুদ্রের উপকূল জুড়ে একেক স্থানের বায়োডায়ভার্সিটি যে ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয় তা আপনি ধীরে ধীরে বুঝে উঠবেন। যে উপকূল জুড়ে মানুষের আনাগোনা বেশি সেখানকার বায়োডায়ভার্সিটি এক রকম। আর যেখানে মানুষের আনাগোনা কম বা নেই বললেই চলে সেখানে আপনি দাড়ালেই বুঝবেন আপনি কোন গার্ডেন অফ ইডেনে চলে এসেছেন।

শিয়াল এবং গুইসাপ উভয়েই এই প্রকৃতির অংশ। বাংলাদেশের জন্ম থেকেই এরা এখানে আছে । কিন্ত তারপরেও এই প্রাণী দুটোকে এভাবে আলাদা করে নাম উল্লেখ করা জীববৈচিত্র্য নিয়ে অসম্পন্ন জ্ঞানের ফসল বলে মনে হয়। বিল বোর্ডের আলোচিত অংশটুকু প্রবন্ধ লেখক ছবিতে লাল করে মার্ক করে দিয়েছেন। ছবিটি তুলেছেন প্রবন্ধ লেখকঃ সাওয়াবুল্লাহ্ হক। ছবিটি তোলা হয়েছে কক্সবাজারের দরিয়ানগর উপকূলবর্তী এলাকা থেকে।

যাই হোক, হাটতে হাটতে আজ USAID-এর অর্থায়নে তৈরি এক বিলবোর্ডের উপর আমার নজর পড়ে। বিলবোর্ডের ছবিটিই আমার এই আর্টিকেলে দেওয়া আছে। মূলত এটা সামুদ্রিক কাছিম কে রক্ষা করার প্রকল্পের অংশ হিসেবে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা তৈরির জন্য দেওয়া হয়েছে। এরকম বিলবোর্ড মানুষের মাঝে খুব পজিটিভ ইফেক্ট ফেলে। কেননা, মানুষ সমুদ্রে গেলে তাকে স্মরণ করিয়ে দিবে যে তার যে কর্ম তা তাকে আনন্দিত করলেও তা যদি পরিবেশের ক্ষতির কারণ হয় তাহলে তা অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীর উপরেও খুব খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। এগুলোর মাধ্যমেই সাধারণ মানুষের শেখার সুযোগ হয়। পরিবেশ এবং পরিবেশের উপাদান নিয়ে তারা চিন্তা করতে পারে।

যাই হোক, বিলবোর্ডের উদ্দেশ্য নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই। তা আমি অলরেডি স্পষ্ট করেছি। কিন্ত বিলবোর্ডের বুলেট পয়েন্টের তিন নাম্বার বুলেট পয়েন্ট নিয়ে আমার কথা বলার উদ্দেশ্য।

তিন নাম্বার বুলেট পয়েন্টে যা বলা হয়েছে, “ কুকুর, শিয়াল , গুইসাপ, অন্য কোন প্রাণী এবং মানুষ যেন কাছিম, কাছিমের ডিম ও বাচ্চার কোন প্রকার ক্ষতিসাধন করতে না পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে

আমার কথা হল সাগরের কাছিম যে প্রকৃতির উপাদান সে একই প্রকৃতির উপাদান গুই সাপ এবং শিয়াল। অর্থাৎ পুরোপুরি দুটো পিউওর নেটিভ ওয়াইল্ড অ্যানিম্যাল। নিঃসন্দেহে যারা আমাদের বায়োডায়ভার্সিটি বা জীববৈচিত্রের অংশ। এমন দুটো প্রাণীর স্বাভাবিক প্রাকৃতিক খাবারের উপর মানুষ কে কেন হস্তক্ষেপ করতে বলা হবে ? মানুষের হস্তক্ষেপ হতে পারে অন্য মানুষের উপর তাও শুধুমাত্র যদি আইন লঙ্ঘন করে প্রকৃতি নষ্ট করা হয় যখন শুধুমাত্র তখন তাও আইনি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। অর্থাৎ যারা প্রকৃতিকে নষ্ট করে এই জীবদের জন্য বসবাসের অনুপুযুক্ত করে তুলছে। যারা সাগর পাড়ে গিয়ে বড় বড় মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট বাজিয়ে সমুদ্রের উপকূলের নিরব পরিবেশকে নষ্ট করছে। যারা মোটর যান চালিয়ে শব্দ করে কাঁকড়া হতে শুরু করে সমুদ্র উপকূলের অসংখ্য বায়োম কে ধ্বংস করছে। মানুষের হস্তক্ষেপ হবে এদের উপর। কিন্ত মানুষকে কেন আরেকটা ওয়াইল্ড অ্যানিম্যালের উপর হস্তক্ষেপ করার জন্য অনুরোধ করতে হবে !

বিলবোর্ডের একেবারে নিচের লাইনটা খেয়াল করুন। আসুন সকলে মিলে বিশ্বব্যাপী বিপন্ন সামুদ্রিক কাছিম সংরক্ষণ করি।

অর্থাৎ কোন গুই সাপ যদি তার প্রাকৃতিক খাবারের অংশ হিসেবে কোন সামুদ্রিক কাছিমের ডিম খাওয়া শুরু করে তাহলে তার মুখ থেকে ডিম কেড়ে নিয়ে গুইসাপকে উপকূল এলাকা থেকে সড়িয়ে দেওয়াটা হবে সামুদ্রিক কচ্ছপ সংরক্ষণের উপায়। কোন শিয়াল এসে যদি কোন সামুদ্রিক কচ্ছপের বাচ্চাকে খাওয়া শুরু করে তখন সেই শিয়ালকে ধাওয়া দিয়ে প্যানিক সৃষ্টি করে বিদায় করে দেওয়াটা হবে সামুদ্রিক কাছিম সংরক্ষণের উপায়। অর্থাৎ পরিবেশ আজকে যে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এর বায়োডায়ভার্সিটি ধ্বংসের সম্মখীন। ইকোলজির চেইন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তার মূল কারণ হল পরিবেশের উপর মানুষের হস্তক্ষেপ। এখানে আরো সুন্দর করে সেই হস্তক্ষেপই শিখানো হচ্ছে।

বাংলাদেশে কোস্টাল এরিয়াতে এশিয়ান ওয়াটার মনিটর লিজার্ড বা রামগদি বা বড় গুইসাপের চলাচল রয়েছে। নির্দিষ্ট করে কক্সবাজারের উপকূলে কোন প্রজাতির গুই সাপ রয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে রামগদি গুই সাপ বাংলাদেশে জাতীয় ভাবে সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। প্রতি বছরেই বাংলাদেশের এসব প্রাণী আশঙ্কাজনকহারে তাদের ডিস্ট্রিবিউশন এরিয়া হারাচ্ছে। এককালে যেখানে এরা নিরাপদে বসবাস করত সেখানে বড় বড় বিল্ডিং উঠছে। এরা কোথায় চলে গিয়েছে সেই খবরটাও আমরা রাখি না। এবং গুইসাপ বা এরকম প্রাণীদের প্রতি লোকাল সমাজে আগে থেকেই নেগেটিভ পারসেপশন বিদ্যমান। অনেক ক্ষেত্রেই তারা এই গুইসাপ কে শত্রু মনে করে। এবং গুইসাপ কে নিয়ে নানা রকম কুসংস্কারও চালু আছে। যা গুইসাপের অস্তিত্বের জন্য ঝুঁকির কারণ।

একইভাবে শিয়ালের কথাও আলোচনাতে আনা যায়। বাংলাদেশে দুই প্রজাতির শিয়াল আছে। এর মধ্যে Golden Jackal বা পাতি শিয়াল প্রায় সব এলাকাতেই রয়েছে। আইইউসিএন (IUCN) এর রেড লিস্টে এর অবস্থান ঝুকিমুক্ত থাকলেও যে হারে তারা তাদের আবাসস্থল হারাচ্ছে তাতে যেকোন সময় এদের সার্বিক অবস্থান নিচে চলে আসবে । কেননা শিয়ালকে পিটিয়ে মারা, শিয়ালের বাচ্চাকে পিটিয়ে মারা। কবিরাজের পরামর্শে শিয়ালের মাংস রান্না করে খাওয়া এ ধরণের খবর কম বেশি প্রায়ই পত্রিকাগুলোতে পাবলিশ হয়। যা নিঃসন্দেহে এ প্রাণীদের ভবিষ্যত যে আশঙ্কাপূর্ণ তা উদ্দেশ্য করে।

শিয়াল এবং গুইসাপ উভয়েই সুযোগসন্ধানী প্রাণী ( Opportunistic) । অর্থাৎ তারা খাদ্য গ্রহণের জন্য সাধারণত সে জিনিসই গ্রহণ করবে যা শিকার করতে তাদের জন্য সহজ হবে। এজন্য অনেক সময় এদেরকে দেখা যায় এরা গৃহস্থের হাঁস মুরগী শিকার করে খায়। এজন্য বাংলাদেশে এমন কোন গৃহস্থের বাড়ি পাওয়া যাবে না যেখানে দুটো প্রাণীকে খুব ভালোভাবে দেখা হয়। অর্থাৎ এদের সাথে পারস্পরিক যে সহাবস্থান তা অনেকটাই এক পাক্ষিক। অর্থাৎ এ প্রাণীরা টিকে আছে নিজেদের বুদ্ধি এবং হাজার বছর ধরে কালচারের (বংশ পরম্পরায় যে শিক্ষা) মাধ্যমে রপ্ত করা কৌশলের দিয়ে। অর্থাৎ এ দুটো প্রাণীর ব্যাপারে অলরেডি সাধারণ মানুষ নেগেটিভ। সেখানে ইউ এস এইডের অর্থায়নে এরকম বিলবোর্ড ভবিষ্যত প্রজন্মকে ভুল শিক্ষা দিবে । তারা কক্সবাজারে এসে এই বিলবোর্ড দেখে জীববৈচিত্র্যের ব্যাপারে ভুল শিক্ষা নিয়ে যাবে। কক্সবাজারে বাংলাদেশের নানা প্রান্ত থেকে লোক আসে। অর্থাৎ এখানের ভুল শিক্ষা বাংলাদেশের সব স্থানে খুব কম সময়েই ছড়িয়ে পড়বে।

আমাদের জনমানবের প্রকৃতিতে গুইসাপ এবং শিয়ালের মত প্রাণীরা যে টিকে আছে এর পিছনে মূল কারণ এই প্রাণীদের বুদ্ধিমত্তা এবং হাজার বছর ধরে রপ্ত করা কৌশল। গুই সাপের ছবিটি তুলেছেন প্রবন্ধ লেখকঃ সাওয়াবুল্লাহ্ হক । ছবিটি তোলা হয়েছে মাদারীপুর শহর থেকে।

এছাড়া কলোনিয়াল পিরিয়ড থেকেই মাংসাশী প্রাণীদেরকে ডেমোনাইজ করে আসা হচ্ছে। যার অংশ হিসেবে একটা সময় এই উপমহাদেশে ব্যাপকহারে বাঘ নিধন করা হয়েছে। এমন কোন বৃটিশ অফিসার পাওয়া যাবে না যে বন্দুক হাতে নিয়ে বাঘ মারার জন্য উপমহাদেশের কোন বনে প্রবেশ করে নি। এযেন ছিল তাদের কাছে ডাল ভাতের মত। তারা এই বাঘের মত অ্যাপেক্স প্রিডেটর যেভাবে হত্যা করেছে সেই অপূরণীয় ক্ষতি আর পোষানো সম্ভব হয় নি। যেন উপমহাদেশে এসে বাঘ শিকার না করে বিলেতে ফেরত গেলে লজ্জার কিছু একটা ঘটবে।

তাদের মাংসাশী জীবের উপর এরকম নেগেটিভ ধারণার ইফেক্ট হিসেবে ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক থেকে ১৯২৬ সালে সব নেকড়ে বিলুপ্ত হয়ে যায়। যদিও রেড ইন্ডিয়ানদেরকে অমানুষিক অত্যাচার করে এই ইয়েলোস্টোন থেকে বের করে দিয়ে একে ন্যাশনাল পার্ক ঘোষণা করা হলেও নেকড়ে কে ডেমোনাইজ করে এর শিকার চালু রাখা হয়। একটা সময় সব নেকড়ে মারা যায়। এবং পরে তারা বুঝতে পারে তারা কি ভুল করে ফেলেছে। ইয়েলোস্টোনের ইকোলজির চেইন তারা ছিড়ে দিয়েছে। যা নেকড়ের উপস্থিতি ছাড়া ঠিক করা সম্ভব নয়। পরবর্তীতে তারা ক্যানাডা থেকে নেকড়ে এনে ইয়েলোস্টোন কে রক্ষা করে।

সেই একই শিক্ষা কি ইউ এস এইড এখানে দিচ্ছে না ? তাদের কলোনিয়াল মানসিকতার দিকটিই ফুলে উঠেছে এখানে। আলোচিত পুরো বাক্যটিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করা সম্ভব। তারা এখানে শিয়াল, গুই সাপের পরে উল্লেখ করে অন্যকোন প্রাণী। এখানে অন্যকোন প্রাণী দ্বারা তারা কি বুঝিয়েছে ? নতুন কোন প্রাণীতো কাছিমের ডিম খাওয়ার জন্য অন্যকোন দেশ থেকে এখানে মাইগ্রেট করে আসবে না। বাংলাদেশের বায়োডায়ভার্সিটি সংশ্লিষ্ট ঐ প্রাণীগুলোই এখানে উদ্দেশ্য যারা মাংসাশী বা শিয়াল এবং গুইসাপের মত সুযোগসন্ধানী। তা হতে পারে বেজি অথবা বন্য কোন বিড়াল। কিন্ত এরাও তো স্থানীয় জীববৈচিত্র্যের অংশ। এখানে কেন এদেরকেও এরকম বাহিরে রাখা হবে।

কক্সবাজারে কচ্ছপদের জন্য মূল ঝুঁকি হল উপকূল এলাকায় বেড়াতে আসা মানুষের শৃঙ্খলাহীন জীবন যাপন। অহেতুক নাইট ক্যাম্প করা, তীব্র সাউন্ডে গান বাজানো, যত্রতত্র প্লাস্টিক ফেলা, ইঞ্জিন চালিত যান শব্দ করে চালানো। এগুলো হল সামুদ্রিক কাছিমের জন্য উপকূল এলাকায় একরকম নাইট্মেয়ার। এছাড়া কিছুদিন আগে যে ব্যাপক হারে মৃত কাছিম ভেসে আসছিল এ নিয়ে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ চৌধুরী প্রথম আলো পত্রিকার সাথে এক সাক্ষাতকারে বলেন,

“এবার এতসংখ্যক কাছিমের মৃত্যুর পেছনে কয়েকটা কারণ আছে মনে হয়। সমুদ্রে প্রচুর পরিমাণে মাছ ধরা হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রায় আড়াই শ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রলার আছে, যেগুলো উপকূল থেকে দূরবর্তী সমুদ্র অঞ্চলে মাছ ধরে। ট্রল নেট (বড় টানা জাল) ব্যবহার করে। এসব মাছ ধরার ট্রলার বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় চষে বেড়ায়। ৪০ থেকে ৭০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত মাছ ধরে।

উপকূলের কাছাকাছি থেকে মাছ ধরে ৬৫ হাজারের বেশি ট্রলার, যারা গিল নেট বা ভাসমান ফাঁসজাল ব্যবহার করে। উপকূলের দিকে ডিম দিতে আসার সময় কিংবা গভীর সাগরে থাকার সময় জালে আটকে আঘাতপ্রাপ্ত হয় কাছিম। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সাধারণত অলভি রিডলের ডিম পাড়ার সময়। ওই সময় লবণাক্ততা বেশি, পলির পরিমাণ কম ও পানি স্বচ্ছ থাকে। সাগরও তুলনামূলক কম উত্তাল থাকে। তাই কাছিমের উপকূলের দিকে আসার এটা অনুকূল সময়।

এ ছাড়া জাহাজ বা ট্রলারের আনাগোনা বাড়ার কারণে প্রপেলার কিংবা অন্য কিছুর ধাক্কায় আঘাত পায় কাছিম”

এছাড়া তিনি আরো কিছু কারণের কথা উল্লেখ করেছেন হাঙ্গরের মত জলজ প্রাণীর আক্রমণে তারপর জেলেদের নানারকম পরিবেশ দূষণীয় কাজেও সামুদ্রিক কাছিম মারা যেতে পারে।

আসল কারণগুলো বাদ দিয়ে দূর্বল কারণগুলোর পিছনে পরে থাকাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। ইউ এস এইডের এই বিলবোর্ডকে নতুন করে সংশোধন করে আরো যত্নের সাথে লেখার অনুরোধ করছি। এমন কিছু প্রচার এবং প্রসার করা উচিত নয় যার মাধ্যমে কোন কমিউনিটি হোক তা হিউম্যান কমিউনিটি বা ওয়াইল্ড লাইফ কমিউনিটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *