সাপ তাড়ানোতে কার্বলিক এসিড কি আসলেই কার্যকর নাকি কলোনিয়াল অন্ধ অনুসরণ
পাক ভারত উপমহাদেশে ঘরে সাপের আগমন বন্ধ করা জন্য কার্বলিক এসিডের ব্যবহার কে মোক্ষম অস্ত্র মনে করা হয়। এমনকি আমাদের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পাঠ্য বইয়ের জৈব রসায়ন সংক্রান্ত অধ্যায়ে কার্বলিক এসিডের আলোচনাতে এর ব্যবহার নিয়ে বিভিন্ন নোটবুকে এই কথা পড়ানো হত যে সাপ তাড়ানোর জন্য কার্বলিক এসিড ব্যবহার করা হয়ে থাকে i। এমনকি সাপ তাড়ানোতে কার্বলিক এসিডের ব্যবহার এতটাই প্রচলিত যে উপমহাদেশের লেখকরাও বিভিন্ন সময়ে তাদের গল্প উপন্যাসে সাপ তাড়ানোর জন্য কার্বলিক এসিড ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে এসেছেন।
বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় তাঁর অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস ‘চাঁদের পাহাড়‘–এ সাপ তাড়ানোর জন্য কার্বলিক এসিডের ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেন ii। এছাড়া জনপ্রিয় গল্পকার ‘হুমায়ূন আহমেদ‘ এর ‘জ্বীন–কফিল‘ নামক উপন্যাসেও সাপ তাড়াতে কার্বলিক এসিডের কথা এনেছেন iii। তার ‘মিসির আলি‘ কে নিয়ে লেখা আরেকটি উপন্যাস ‘আমিই মিসির আলি‘ –তেও সাপ তাড়ানোর জন্য কার্বলিক এসিডের ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেন iv। এছাড়া হুমায়ূন সাহেবের আরেকটি উপন্যাস ‘রূপা‘-তেও সাপ তাড়ানোর জন্য প্রসঙ্গক্রমে ‘কার্বলিক এসিড‘-এর কথা এসেছে v। এছাড়া লেখক ‘মুহাম্মদ জাফর ইকবাল‘ তার ‘দীপু নাম্বার টু‘- তে সাপ তাড়ানোর জন্য কার্বলিক এসিডের কথা এনেছেন vi। ‘সতীনাথ ভাদুড়ী‘ তার ‘রোগী‘- নামক ছোটগল্পে সাপের কামড় হতে বাঁচার জন্য কার্বলিক এসিডের কথা উল্লেখ করেন vii। অর্থাৎ বাঙ্গালি লেখকদের বইতে সাপের আলোচনা আসলে সেখানে কার্বলিক এসিড ব্যবহারের বিষয়টি আসা খুবই স্বাভাবিক। কার্বলিক এসিডের ব্যবহারের প্রসঙ্গ লেখকরা যেখানে এনেছেন তারা তা খুব আত্মবিশ্বাসের সাথেই এনেছেন। উল্লেখিত গল্পগুলো হতে কার্বলিক এসিড সংক্রান্ত লাইন গুলো পড়লেই যে কেউ বুঝতে পারবেন। বিশেষ করে ‘মুহাম্মদ জাফর ইকবাল ‘ সাপ তাড়ানোর জন্য তাবীজের ব্যবহার কে অকার্যকর এবং কুসংস্করাচ্ছন্ন প্রমাণ করার জন্য ‘কার্বলিক এসিডের‘ ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেন। আমরা সামনে আলোচনা করব সাপ তাড়ানোর জন্য ‘কার্বলিক এসিডের‘ ব্যবহার আসলেই কতটুকু বৈজ্ঞানিক। কেইবা সাপ তাড়ানোর জন্য কার্বলিক এসিডের ব্যবহার আবিষ্কার করল। এগুলো নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।
কার্বলিক এসিডের পরিচয়
‘কার্বলিক এসিড‘- কে আধুনিক জৈব রসায়নে ( Organic Chemistry) ‘ফেনল‘ হিসেবে পরিচয় করানো হয়। এর নিজস্ব গন্ধ রয়েছে এবং পানিতে দ্রবনীয়। এর জলীয় দ্রবণ জীবানুনাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয় কিন্ত এর মূল ব্যবহার পলিমার তৈরিতে। খাটি ফেনল বা কার্বলিক এসিড ত্বক পুড়িয়ে ফেলতে সক্ষম এবং এটি বিষাক্ত হিসেবেও পরিচিত। এর খুব অল্প পরিমাণে গ্রহণের দ্বারা মৃত্যু হয়েছে এরকম রেকর্ডও রয়েছে। তাছাড়া এটি ত্বকে ব্যবহার করার মাধ্যমেও বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে viii।
মূলত বৃটিশ সার্জন জোসেফ লিস্টার উনবিংশ শতাব্দীতে জীবাণুনাশক হিসেবে ফেনলের ব্যবহার কে জনপ্রিয় করেন। তিনি ১৮৬৫ সালে কার্বলিক এসিড কে রোগীর অপারেশনের সময় স্প্রে হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করেন। তিনি দেখেন যে, অপারেশনের পর তার পুরুষ ওয়ার্ডে রোগী মৃত্যুর হার ৪৫ থেকে ১৫ পার্সেন্টে নেমে আসে। লিস্টার বুঝতে পারেন যে অপারেশনের সময় রোগীরা বিভিন্নভাবে ক্ষত স্থানে জীবানু দ্বারা আক্রান্ত হয়। কার্বলিক এসিডের ব্যবহারের দ্বারা জীবানু দ্বারা আক্রান্ত হওয়া রোধ করা সম্ভব ix। ধীরে ধীরে ফেনলের বহুমাত্রিক ব্যবহার বৃদ্ধি পায়।
সাপ তাড়ানোতে কার্বলিক এসিডের ব্যবহার মূলত কার আবিষ্কার ?
ভারত উপমহাদেশে বৃটিশ উপনিবেশ সময়ে কর্মরত বৃটিশ ফিজিশিয়ান ডক্টর ফেরার ( Joseph S. Fayrer) মূলত সাপ তাড়ানোতে কার্বলিক এসিডের ব্যবহারটি সকলের সামনে নিয়ে আসেন।
১৮৬৮ সালে প্রকাশিত ‘দা ইন্ডিয়ান গেজেটে‘ ডক্টর ফেরার –এর সাপের বিষ সম্পর্কিত একাধারে বেশ কিছু পরীক্ষা নিবন্ধ আকারে প্রকাশিত হয়। ‘Experiments On The Action Of The Cobra Poison’ নামের নিবন্ধের অনুকূলে একাধারে চৌদ্দটি এক্সপেরিমেন্ট ছাপানো হয়। তার মধ্যে তের নাম্বার এক্সপেরিমেন্টে সাপ তাড়ানোর জন্য কার্বলিক এসিডের ব্যবহারের কথা আসে। মূল বিষয় যা এক্সপেরিমেন্টে উল্লেখ করা হয় তা হল, ইঞ্জিনিয়ারিং পত্রিকার সম্পাদক মিস্টার ডব্লিউ ক্লার্ক ( Mr W. Clarke) মিস্টার ফেরার কে জানান যে, সাপের বিষের উপর ক্রিসোট ( Creosote)-এর যা মূলত ফেনলেরই এক ধরণ এ জিনিসের বিষ ধ্বংসকারী প্রভাব রয়েছে। এটা সাপের কামড়ে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে তিনি পরামর্শ প্রদান করেন। তবে ‘ফেরার‘ এর জবাবে বলেন, বিষের উপর এর প্রভাব নিরূপণ করতে সময় লাগবে বা আরো পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। তবে কার্বলিক এসিড কেমিক্যাল সাপের উপর (সরাসরি) ব্যবহার করে পজিটিভ রেজাল্ট পাওয়া গিয়েছে। সাপের বিষের ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতার ব্যাপারে ‘ফেরার‘ সন্দেহ প্রকাশ করে কিন্ত অন্যদিকে তিনি বলেন তবে কার্বলিক এসিড অথবা শুধুমাত্র আলকাতরা দেয়াল, কাঠের সাথে ব্যবহার করে সাপ ঘর হতে দূরে রাখার জন্য এক কার্যকরী উপায় হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
তিনি এর স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে যে পরীক্ষার কথা উল্লেখ করেন , তিনি একটি কোবরা সাপের মুখের উপরে কয়েক ফোটা কার্বলিক এসিড ফেলেন। এরপর সাপটি যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকে। সাপটি ঘন ঘন তার মুখ বন্ধ এবং খুলতে আরম্ভ করে। সাপের পুরো শরীরে খিঁচুনির প্রকাশ পায়। পাঁচ মিনিটের মধ্যে সাপটি নিস্তেজ হয়ে পড়েx।
ডাক্তার ফেরার একই পরীক্ষা শঙ্খিনী (Bungaras fasciatus)এর উপর চালান। যা তিনি এক্সপেরিমেন্ট চৌদ্দ–র আলোচনাতে একই সংখ্যায় উল্লেখ করেন xi।
পরবর্তীতে ডাক্তার ‘ফেরার‘ তাঁর পরীক্ষাগুলো এবং সাপের বিষ সংক্রান্ত আলোচনা কে একত্র করে একটি ‘The Thanatophidia of India Being A Description Of The Venomous Snakes Of The Indian Peninsula With An Account Of The Influence Of Their Poison On Life With An Account Of The Influence Of Their Poison On Life; And A Series of Experiments’ নামে বই প্রকাশ করেন । সেখানে তিনি কার্বলিক এসিড সংক্রান্ত আরো কিছু পরীক্ষা উল্লেখ করেন।
এরমধ্যে একটি পরীক্ষা হল, তিনি একটি পূর্ণবয়স্ক কোবরার উপর এক ড্রপ কার্বলিক এসিড ঢেলে দেন। দু‘ মিনিটের মধ্যে কোবরাটি তার শক্তি হারিয়ে ফেলে। সাপের মধ্যে খিঁচুনি দেখা যায়, ছোবল দেওয়ার ব্যাপারে শক্তি হারিয়ে ফেলে যদিও সাপটি ফনা তুলে। সাপটি ধীরে ধীরে পূণরায় শক্তি ফিরে পায়। যদিও এতে অনেক সময় লাগে। একটি ছোট সাইজের কোবরার উপর একই পরিমাণ কার্বলিক এসিড ফেলাতে সাপটি মারা যায়।
তিনি কার্বলিক এসিড কে কোলা ব্যাঙ্গের (Hoplobatrachus tigerinus ) এর উপর ফেলেও একটি পরীক্ষা করেন এবং সেই পরীক্ষাতেও ব্যাং–টি মারা যায়xii।
এক্সপেরিমেন্ট টুয়েন্টি নাম্বারেও তিনি কার্বলিক এসিড নিয়ে একই ধরণের পরীক্ষার কথা উল্লেখ করেন।
এছাড়া তিনি কার্বলিক এসিড কে সাপের বিষের প্রতিষেধক হিসেবেও ব্যবহার করার পরীক্ষা করেনxiii। এমনকি ডাক্তার ফেরার এর সময়কালীন অনেকে বিশ্বাস করতেন যে, কার্বলিক এসিডের ব্যবহার দ্বারা সাপের বিষ নির্মূল করা সম্ভব। কিন্ত ‘ফেরার‘ বিভিন্ন সময় সাপে কাঁটা কুকুরের উপর কার্বলিক এসিডের পরীক্ষা চালিয়ে প্রমাণ করেছেন যে সাপের বিরুদ্ধে কার্বলিক এসিডের কার্যকর নয় xiv।
কার্বলিক এসিড দিয়ে সাপ মারার এরকম পরীক্ষার চারটির মত উল্লেখ করা হয়। তার বক্তব্য হল, ‘কার্বলিক এসিড সাপের জন্য অনেক বিষাক্ত‘xv।
ডাক্তার ‘ফেরার’–এর পরীক্ষাসমূহ নিয়ে কিছু কথাঃ
বিষধর সাপ সম্পর্কে ‘ফেরার‘ খুবই নেগেটিভ ধারণা রাখতেন যা তার এক্সপেরিমেন্টের বিবরনীতে স্পষ্ট ফুটে উঠে। উপরে উল্লেখিত এক্সপেরিমেন্টগুলো বই হতে যে কেউ পড়লেই দেখতে পারবেন যে অসংখ্য স্থানে ‘বিষধর‘ সাপকে ইভিল (Evil) বা মন্দ হিসেবে সাব্যস্ত করেছে। সাপের তড়পাতে তড়পাতে মৃত্যু যেন তাকে আনন্দ প্রদান করেছে। আমরা যদি ‘জোসেফ ফেরার‘ এর নিজের লেখা আত্মজীবনীমূলক বই ‘Recollections of My Life’ পড়ি তাহলে সেখানে দেখব শুরু থেকেই সে বিষধর সাপের ব্যাপারে এক রকম অস্বস্তিবোধ করতেন। এক স্থানে তিনি লিখেন, একদিন আমি নদীর পাশ দিয়ে এক রাস্তা দিয়ে হাটছিলাম। হঠাৎ করে এক অদ্ভুত শব্দ শুনলাম। তাকিয়ে দেখি একটি কোবরা তার ফণাটি জাগিয়ে তুলেছে আমি ওটাকে তৎক্ষণাৎ গুলে করে মেরে ফেললাম। এটাই ছিল আমার কোন বন্য সাপের সাথে প্রথম পরিচয়।xvi“
তবে ‘ফেরার‘ এর পরীক্ষাসমূহের কিছু ভালো দিকও ছিল। যেমনঃ তৎকালীন সময়ে বিষধর সাপের কামড়ে বিষকে অক্ষম করার জন্য অনেক কিছুই ব্যবহার করা হত। ফেরার এর তাঁর বিভিন্ন পরীক্ষার দ্বারা এরকম তুক তাকের অসারতা প্রমাণ করেন। তাঁর আত্মজীবনীতে তিনি লিখেন, “ আমার গবেষণার মধ্যে ছিল সাপের বিষের বিরুদ্ধে বহুল প্রচলিত কিছু তুক–তাকের প্রভাব পরীক্ষা করা। যা পরীক্ষা শেষে সবই অক্ষম প্রমাণিত হয়।xvii” ফেরার সাপের বিষের কার্যকর রিমেডি বের করার জন্য এতটাই সিরিয়াস ছিলেন যে সে কার্বলিক এসিডের পাশাপাশি অন্যান্য অনেক কেমিকেল যৌগ ও একাধারে কোবরা, কিং কোবরা, রাসেল ভাইপার, ক্রেইট বা কালাচ টাইপের বিষধর সাপদের শরীরে সাপের বিষ বিভিন্ন সাপের বিষ প্রয়োগ করে নানামুখী পরীক্ষা করেন। এছাড়া নিরীহ দাঁড়াস সাপ (Rat snake) , গুইসাপ, বিভিন্ন ধরণের শামুক, ব্যাং, মাছ, ঘুঘু পাখি, কবুতর, ঘোড়া, গৃহপালিত কুকুর সহ আধা বন্য দেশি কুকুরের উপরও সাপের বিষের বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষা চালানxviii। তবে ফেরার কেন এটা মনে করতেন যে বিভিন্ন কেমিক্যাল বিশেষ করে কার্বলিক এসিডের মত জীবানু ধ্বংসকারী রাসায়নিক দ্রবণ বা এরকম জাতীয় অন্যান্য পদার্থ সাপের বিষের বিরুদ্ধে কার্যকর হলেও হতে পারে এর একটা ধারণা হয়তবা তিনি বিভিন্ন রোগের একমাত্র কারণ বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়াল , ভাইরাস বা ফাঙ্গাস জনিত আক্রমণ এই তত্ত্ব দ্বারা তিনি প্রভাবিত ছিলেন। কেননা তিনি তার কর্ম জীবনে অনুজীব সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ সাড়িয়েছেন অদ্ভুদ সব উপায়ে। যার ব্যাখ্যা তার কাছেও তৎক্ষনাতভাবে ছিল না xix।
তার করা জীবিত সাপের উপর পরীক্ষাগুলোকে খুব নির্মম মনে হলেও তৎকালীন সময়ে সায়েন্টিস্টদের মধ্যে এটা খুব কমন প্রাক্টিস ছিল। জীবিত কোন প্রাণীকে পরীক্ষার জন্য তার উপর কিছু জীবিত অবস্থাতেই প্রয়োগ করা বা কাটাকাটি করাকে ‘ভিভিসেকশন‘ (Vivisection) বা ‘ব্যবচ্ছেদকরণ‘ বলা হয়। তৎকালীন সময়ে জীবিত প্রাণীর উপর বিজ্ঞানীদের এরকম পরীক্ষা পর্যবেক্ষনের জন্য কোন রেগুলেটরি ছিল না। যে কারণে বিজ্ঞানীরা নিজেদের স্বাচ্ছন্দ্য মত যেমন ইচ্ছে ঠিক সেরকমভাবে এই পরীক্ষাসমূহ চালাত। ১৮৭৬ সালে বৃটিশ সরকার প্রাণী আইন করার মাধ্যমে এরকম ধরণের পরীক্ষা রেগুলেটরি বা নিয়মের মাধ্যমে আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
কলোনিয়াল সময়ে সাপ সংক্রান্ত ব্যাপারে ‘ভিভিসেকশন‘ খুব কমন ছিল কি
‘সাপ‘ নিয়ে একমাত্র বৃটিশ সার্জন ফেরারই যে এমন অদ্ভুত পরীক্ষা করেন ব্যাপারটি এরকম নয়। ১৮৬৭ সালে মাদ্রাজের টিকা সম্বন্ধীয় সুপারিন্ডেন্ট জেনারেল জর্ন শর্ট ( John Shortt) কোবরার বিষের প্রতিষেধক বের করার জন্য ১৭৫ পাউন্ডের পুরষ্কার পর্যন্ত ঘোষনা করেনxx। এবং তিনিও নানামুখী এক্সপেরিমেন্ট চালান। যা ‘ল্যানসেটে–র মত জার্নালে প্রকাশিত হয় xxi। কলোনিয়াল সময়ে সাপের বিষ নিয়ে যে শুধুমাত্র গবেষণার কাজেই এরকম জীবিত প্রাণীর উপর ভিভিসেকশন করা হত ব্যাপারটা এমন নয়। অনেকে এটাকে খেলার ছলেও করত। ঠিক এরকমই একজনকে পাওয়া যায় যিনি হলেন জোসেফ সায়ার ( Joseph Shire) । জোসেফ সায়ার তার নিজের বানানো সাপের অ্যান্টিডোট দিয়ে খেলা দেখাতেন। তিনি সাপ ধরে এনে মানুষের সামনে সেই সাপ দিয়ে মানুষের বিভিন্ন পোষা প্রানী যেমনঃ কুকুর, বিড়াল, শূকর ইত্যাদি প্রাণীকে কামড় খাওয়াতেন এবং কিছুক্ষন পরে তার অ্যান্টিডোট প্রয়োগ করে দেখাতেন। যে তার অ্যান্টিডোটের প্রয়োগে কিভাবে সাপের বিষে আক্রান্ত প্রানী সুস্থ হয়ে উঠছে।
১৮৬০ সালে চার্লস আন্ডারউড ( Charles Underwood) নামে এক ব্যক্তি জোসেফ সায়ার এর অ্যান্টিডোট নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে বসেন। মূলত দুজনই ছিলেন শোম্যান। এবং উভয়েরই নিজস্ব কথিত অ্যান্টিডোট থাকার কারণে সে সময়ের লোকেরাও এ চ্যালেঞ্জ কে গুরত্ব দান করে। ১৮৬০ সালে তারা যখন উভয়েই ভিক্টোরিয়া তে ছিল তখন জনগন ব্যাপকহারে তাদের কে নিয়ে আগ্রহ দেখাতে থাকে। যা তৎকালীন সময়ের ম্যাজিস্ট্রেটের নজরে আসে। সে বিভিন্ন শিক্ষিত মহল যাদের মধ্যে সায়েন্টিস্ট এবং একাডেমিক লোকও ছিল এছাড়া সাধারন জনগনের উপস্থিতিতে ১৮৬১ সালে একটি অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেন। যেখান আন্ডারউড এবং শায়ার উভয়েই ছিলেন এবং তারা তাদের অ্যান্টিডোটের পরীক্ষা যেন দেখাতে পারেন এজন্য কিছু বাছুর, বন্য শূকর এবং ঘুঘু এবং বিভিন্ন প্রজাতির সাপ ছিল । ম্যাজিস্ট্রেট তাদেরকে এই প্রাণীগুলোর উপর বিষ প্রয়োগ করার অনুমতি প্রদান করেxxii। অর্থাৎ তৎকালীন সময়ে জীবিত প্রাণীর উপর সরাসরি কিছু প্রয়োগ করার বিষয়টি খুবই সাধারণ ছিল। অর্থাৎ ফেরার এর পরীক্ষাকে আলাদাভাবে সমালোচনা করার সুযোগ এখানে খুবই কম।
সাপ হত্যার ব্যাপারে ‘ফেরার‘ এর ভয়ানক পরামর্শ
শুধুমাত্র ফেরার তার নিজ ল্যাবে সাপের বিষ নিয়ে গবেষণাই যে করেন ব্যাপারটি এরকম ছিল না , তিনি সাপ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে উপমহাদেশে কি পরিমাণ মানুষ মারা যাচ্ছে সে সংক্রান্ত নানারকম তথ্য , ডেটা সংগ্রহ করেন। এবং তিনি এগুলো একত্র করে নেচার জার্নালে পেপার পাবলিশ করেন। তিনি সেখানে গভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (বৃটিশ ইন্ডিয়া)-কে সরাসরি অনুরোধ করেন যেন বিষধর সাপ মেরে ফেলার ব্যাপারে পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়। সাপ দ্বারা আক্রান্ত হওয়া কে তিনি বরাবরই ইভিল বা অনিষ্টকারী হিসেবে সাব্যস্ত করেছে। তা একবার নয় একাধিকবার।
এবং তিনি জোর দিয়ে এখানে উল্লেখ করেন , আমি পূনরায় বলছি একমাত্র সাপ ধ্বংস করার মাধ্যমেই এই ক্ষতি দমানো সম্ভব। এছাড়াও তিনি বলেন, “ আমাদের অবশ্য কর্তব্য সাপ শিকার এবং ধ্বংস করা এবং এই কাজের জন্য অবশ্যই একটা সিস্টেমের ব্যবস্থা করতে হবে যে সিস্টেমের আওতাভুক্ত থেকে প্রতিটা শহরে কিছু শৃঙ্খলাবদ্ধ লোক থাকবে যাদের দায়িত্ব থাকবে সঠিক তত্ত্বাবধানে থেকে সাপ খুঁজে বের করে এর ধ্বংস নিশ্চিত করা। এবং হত্যাকৃত সাপের সংখ্যার উপর পুরষ্কার বা প্রতিদান দেওয়া।xxiii” তার এই পেপারটি পড়লে যে কারো মনে হবে সে সাপের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষনা করেছে। এবং বাস্তবতাও তাই। সে এরকম কঠোর ভাষা ব্যবহার করেন যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর পোকা মাকড় যেমনঃ রোগবাহী মশা, বা ঘরের তেলাপোকা, ইঁদুর এগুলোর জন্যও আধুনিক কোন গবেষক এরকম ভাষা ব্যবহার করেন না।
তবে ফেরার–এর পরামর্শনুসারে ভারতে ইতোমধ্যেই বিষধর সাপ মারার বিনিময়ে অর্থ প্রদান শুরু করা হয়। ফেরার দেখান যে , অর্থ প্রদান এবং গণহারে সাপ মারার পর মানুষের মৃত্যু কিছুটা হলেও কমেছে। যদিও আধুনিক গবেষণাতে ফেরার এর এ সমস্ত সিদ্ধান্ত মোটেও গ্রহণযোগ্য হবে না। ফেরার–এই পরামর্শ যদিও শুধুমাত্র ‘বিষধর‘ সাপের জন্য ছিল কিন্ত তারপরেও বলতে হবে তার নিবন্ধিত প্রবন্ধের দেওয়া তথ্য যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে ঐ বছরগুলোতে ‘ সাপের গণহত্যা ‘ সংগঠিত হয়েছে বলতে হবে। শুধুমাত্র বোম্বেতেই (বর্তমান মুম্বাই)-তে ১৮৮০ সালে ১৭৭,০৭৮ টি সাপ মারা হয় । এবং এই সাপ মারা হয় তাদেরকে ৬,৯২২ রুপি প্রদান করা হয়। পুরো ভারতে (মাদ্রাজ বাদে) ২১২,৭৭৬ টি সাপ ১৮৮০ সালে হত্যা করা হয়। ১৮৮১ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৫৪,৯৬৮ টি। এগুলো পিলে চমকানোর মত সংখ্যা। অথচ ভারতবর্ষে কখনো সাপের প্লেগ হয়েছে বা ব্যাপকহারে সাপের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে যা জন জীবনকে অস্বস্তিজনক বা বিরক্তিকর করে তুলেছে এরকম ইতিহাস পাওয়া যায় না। অর্থাৎ এত পরিমাণ সাপ যে মারা হল তার প্রায় পুরোটাই ওয়াইল্ড বা বন্য সাপ। অর্থাৎ লোকালয় তো বটেই লোকালয় থেকে দূরে বন জঙ্গলের সাপও মারা হয়েছে তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। কেননা বৃটিশ অফিসারদের পরামর্শে কোন ব্যতিক্রম ছিল না। এটা পুরোপুরিই কলোনিয়াল চিন্তাভাবনার ফসল। কেননা, আমরা যদি দেখতে পাই বৃটেন বা ইউরোপে কখনোই ভারত উপমহাদেশের মত এত সাপ ছিল না। তাই মানুষ বাচানোর নাম করে এটা ছিল মূলত ভারত কে ইকোলজিক্যালি বৃটেন বানানোর চিন্তাভাবনা।
আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যদি ‘ফেরার‘-এর এই পরামর্শ অনুযায়ী বৃটিশ গভমেন্ট এই সিস্টেম যদি চালু রাখত তাহলে এই উপমহাদেশে সাপ বলতে কিছু থাকত না।
অর্থাৎ ফেরার এর সাপ সংক্রান্ত এবং সে সময়ের বৈজ্ঞানিকদের সাপ নিয়ে যে প্রাক্টিস সমূহ আমরা দেখতে পাই তা যে বিষয়গুলো স্পষ্ট করে তাহল–
-
কলোনিয়াল যুগে সাপকে বিশেষ করে বিষধর সাপ কে ইভিল বা খারাপ সৃষ্টি হিসেবে বিবেচনা করা হত।
-
সাপের ইকোলজিক্যাল অবস্থান কে পুরোপুরি ইগনোর করা হত। অর্থাৎ তৎকালীন সময়ে ইকোলজির ধারণা তখন পর্যন্ত পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠেনি। এমনকি বৈজ্ঞানিকদের মাঝেও না।
-
তৎকালীন সময়ে শুধু সাপের জন্যই যে কলোনিয়ালরা এরকম কঠোর ছিল ব্যাপারটা এরকম নয় তারা বিভিন্ন শিকারী প্রাণী শিয়াল, নেকড়ে, বাঘ ইত্যাদি বিভিন্ন প্রাণীর বায়োসেন্ট্রিজম (Biocentrism)-কে সরাসরি অস্বীকার করত। অর্থাৎ সব প্রাণীর কমপক্ষে বেচে থাকার জন্য নিজস্ব অধিকার রয়েছে এ বিষয়টি উল্লেখিত প্রাণীদের ব্যাপারে পুরোপুরি অস্বীকার করা হত।
-
সাপ কে যত কষ্ট দিয়ে মারা হবে সেটা তত উপভোগ্য বিষয় হবে। আমরা এখনও এ জিনিসের প্রাক্টিস দেখতে পাই। বন বিড়াল বা সাপ অথবা এরকম শিকারী প্রাণীকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে রাখা বা এগুলো নিয়ে মিছিল করা এটা কলোনিয়াল প্রাক্টিস কিনা তা আমাদের ভেবে দেখা উচিত।
কার্বোলিক এসিড কি আসলেই কাজ করে
উপরে অনেক তাত্ত্বিক আলোচনা হল এবার আসল বিষয়ে আসা যাক। কার্বলিক এসিডের প্রাক্টিস ফেরার তার পরীক্ষাতে যেরকমভাবে দেখান তা হল, তিনি সাপের শরীরে সরাসরি কার্বলিক এসিড প্রয়োগ করেন। কার্বলিক এসিড দূর্বল এসিড হলেও তা সরাসরি কোন শরীরে বিশেষ করে লোমহীন কোন দেহে সরাসরি প্রয়োগ করলে তা যে সেই প্রাণীর উপর বিভিন্ন ক্রিয়া ঘটাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বহুল প্রচলিত বক্তব্য হল কার্বলিক এসিড সাপকে দূরে রাখে। এবং ফেরার এর স্বপক্ষে বক্তব্যও দেন যা আমরা পূর্বে উল্লেখ করেছি কিন্ত ফেরার যে পরিক্ষা সমূহ করেন সেই পরীক্ষা ফেরার–এর বক্তব্য কে সঠিক প্রমাণ করে না।
ফেরার যেমন বলেন, “কার্বলিক এসিড অথবা শুধুমাত্র আলকাতরা দেয়াল, কাঠের সাথে ব্যবহার করে সাপ ঘর হতে দূরে রাখার জন্য এক কার্যকরী উপায় হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।” কিন্ত তার এই বক্তব্যের সপক্ষে সাপের উপর কার্বলিক এসিডের যে পরীক্ষাটি করেন তা হল “একটি কোবরা সাপের মুখের উপরে কয়েক ফোটা কার্বলিক এসিড ফেলেন। এরপর সাপটি যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকে। সাপটি ঘন ঘন তার মুখ বন্ধ এবং খুলতে আরম্ভ করে। সাপের পুরো শরীরে খিঁচুনির প্রকাশ পায়। পাঁচ মিনিটের মধ্যে সাপটি নিস্তেজ হয়ে পড়েxxiv। অর্থাৎ তিনি প্রথমে বললেন এই কেমিক্যালটি সাপকে দূরে রাখে আবার একই সাথে তিনি সেই প্রমাণটি দেখালেন সরাসরি সাপের উপর প্রয়োগ করে ! অর্থাৎ তার বক্তব্যের সাথে তার পরীক্ষাটি মিলনসই নয়।
এটা তখনই বুঝা যেত যদি ব্যাপারটা এরকম হত যে কার্বলিক এসিডের ঘ্রাণের কারণে সাপ কোন স্থানে প্রবেশ করছে না বা প্রবেশ করতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে তখন বিষয়টি বলা যেত যে কার্বলিক এসিড সাপকে দূরে রাখার জন্য কার্যকর । কিন্ত ফেরার তার আলোচিত বই The Thanatophidia of India Being A Description Of The Venomous Snakes Of The Indian Peninsula With An Account Of The Influence Of Their Poison On Life With An Account Of The Influence Of Their Poison On Life; And A Series of Experiments’-তে অসংখ্য পরীক্ষা করলেও এরকম কোন পরীক্ষা করে তিনি দেখিয়ে যেতে পারেন নি। সুতরাং কার্বলিক এসিড যে সাপ কে দূরে রাখে এ বিষয়টা বহুল প্রচলিত এক মিথ। যার প্রচলন ঘটে একজন বৃটিশ সার্জন জোসেফ এস। ফেরার এর মাধ্যমে।
কার্বলিক এসিডের ব্যবহারের ব্যাপারে রমালাস হুইটেকার যা বলেন
আমার কাছে কেন যেন মনে হল এ ব্যাপারে নিজের থেকে সিদ্ধান্ত না দিয়ে সবথেকে ভালো হয় যদি একজন হার্পেটোলজিস্টের (Herpetologist) বক্তব্য নিতে পারি। উপমহাদেশ তো বটেই বর্তমান সময়ের হার্পেটোলজিস্ট শব্দটি আসলে যার নাম সর্বপ্রথম মনে আসে তিনি হলেন রমালাস হুইটেকার (Romulus Whitaker)। রমালাস হলেন একজন জীবিত কিংবদন্তি। সাপ এবং সাপ নিয়ে তার প্রাক্টিক্যাল জ্ঞান অন্য যে কারো থেকে বেশি হবে বিশেষ করে ভারত উপমহাদেশের সাপদের নিয়ে তার অসংখ্য গবেষণা রয়েছে এবং সাপ নিয়ে তার লিখিত বই ‘Snakes of India:The Field Guide’ –কে সাপের উপর লেখা বাইবেল হিসেবে গ্রহণ করা হয়। রমালাস কে নিয়েই চাইলে বিশাল এক বই লিখে ফেলা যাবে। আপাতত মূল বিষয়ে নিয়ে আলাপ করি। আমি রমালাস কে কার্বলিক এসিডের ব্যবহার নিয়ে নিজেকে পুরোপুরি অজ্ঞ মনে করে একটা মেইল পাঠাই। আমি রমালাস–কে জিজ্ঞেস করি, “ আমাদের পাক ভারত উপমহাদেশে সাপ কে দূরে রাখার জন্য ব্যাপকহারে কার্বলিক এসিড ব্যবহার করা হয়। বিষয়টা কেমন? আসলেই কি সাপ মানুষের ঘর হতে দূরে থাকে কার্বলিক এসিডের ঘ্রাণের জন্য ? তুমি এ বিষয়টি নিয়ে কি মনে কর ?
রমালাস আমাকে রিপ্লাই মেইলে জানান, “ তোমার প্রশ্নের ব্যাপারে সরাসরি বলতে হয় যে বাস্তবে সাপের সত্যিকারি কোন রিপেলেন্ট বা সাপ কে দূরে রাখার মত কোন কেমিক্যালের অস্তিত্ব নেই। যদিও অসংখ্য উপাদান এ জন্য ব্যবহার করা হয়েছে এবং অনেকে দাবিও করেছে যে এটা কাজ করে। অবশ্যই সাপ অথবা যে কোন প্রাণী এসিডের মত ক্ষতিকর উপাদান (কেমিক্যাল) এড়িয়ে চলতে চাইবে। এটা শুধুমাত্র তখনই সম্ভব যখন সেই প্রাণী বা সাপ সরাসরি সেই ক্যামিক্যালের একেবারে কাছে থাকবে। কিন্ত এজন্য কার্বলিক এসিডের মত দাহ্য পদার্থ সাপ দূরে রাখার জন্য সবখানে বা সারা ঘর ব্যাপী ছিটিয়ে দেওয়ার মত বিষয় হতে পারে না। ইঁদুর বা ইদুরের মত প্রাণীরা ঘরে থাকার জন্য সাপ সাধারণত ঘরে আসে। কেননা অধিকাংশ সাপই মূলত এদেরকে শিকার করে থাকে। তাই কার্বলিক এসিড ব্যবহার করার থেকে সাপ কে ঘর হতে দূরে রাখার জন্য ইঁদুর মুক্ত রাখা হল সবথেকে কার্যকর উপায়।xxv”
আমার মনে হয় না কার্বলিক এসিডের ব্যবহার নিয়ে আমাদের আর বক্তব্য বাড়ানো উচিত। কার্বলিক এসিডের ব্যবহার মূলত কলোনিয়াল ম্যাল প্রাক্টিস যা থেকে কোন বিতর্ক ছাড়াই আমাদের বের হয়ে আসা উচিত।
এই প্রবন্ধটি মূলত এক দীর্ঘ অপ্রকাশিত প্রবন্ধ ‘ঘরের আঙ্গিনা হতে সাপ দূরে রাখার কার্যকর উপায় কি কি?’ এর অংশ বিশেষ। আমরা আশা করি দীর্ঘ প্রবন্ধটি অতিশীঘ্র আমাদের সাইট হতে প্রকাশ করতে পারব।
নোটসঃ
ii দেখুনঃ এম, সি , সরকার এন্ড সন্স লিঃ থেকে প্রকাশিত ‘ চাঁদের পাহাড়‘ পৃঃ ২৮।
iii দেখুন: ভয়ঃ পৃ নংঃ ৩৫।
iv দেখুনঃ আমিই মিসির আলি; পৃ নংঃ ৩৪
v দেখুনঃ রূপা; পৃ নংঃ ১২০
vi দেখুনঃ দীপু নাম্বার টু; পৃ নংঃ ৭৭
viiঅমৃত গল্পসম্ভার; পৃ নংঃ ১০০
viiiPage No. 2793; Phenols are hydroxyarenes; Organic Chemistry Structure and Function (Eighth Edittion) By Peter Vollhardt & Neil Schore.
ix https://www.britannica.com/biography/Joseph-Lister-Baron-Lister-of-Lyme-Regis
x ডাক্তার ফ্রায়ারের পরীক্ষাগুলো এখানে সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরা হয়েছে। The Indian Medical Gazette ; Volume:03 ; June 1, 1868; Page No: 124
xiIbid: Page : 125
xii Fourth Series ; Exoeriment No. 07 & 8 ; Page No: 70-71; ‘The Thanatophidia of India Being A Description Of The Venomous Snakes Of The Indian Peninsula With An Account Of The Influence Of Their Poison On Life With An Account Of The Influence Of Their Poison On Life; And A Series of Experiments’
xiii Fourteenth Series ; Exoeriment No. 11,12,21 ; Page No: 100-101; ‘The Thanatophidia of India Being A Description Of The Venomous Snakes Of The Indian Peninsula With An Account Of The Influence Of Their Poison On Life With An Account Of The Influence Of Their Poison On Life; And A Series of Experiments’
xiv Sixteenth Series ; Exoeriment No. 01 ; Page No: 106; ‘The Thanatophidia of India Being A Description Of The Venomous Snakes Of The Indian Peninsula With An Account Of The Influence Of Their Poison On Life With An Account Of The Influence Of Their Poison On Life; And A Series of Experiments’
xv Ibid; Experiment No. 07
xviRecollection of My Life By Joesph Fayrer ; Page no.: 53
xviiRecollection of My Life By Joesph Fayrer ; Page no.: 306
xviiiVenomous encounters Snakes, Vivisection and scientific medicine in colonial Australia by Peter Hobbins Page no: 76
xixRecollection of My Life By Joesph Fayrer ; Page no.: 281
xxVenomous encounters Snakes, Vivisection and scientific medicine in colonial Australia by Peter Hobbins Page no: 76
xxihttps://www.sciencedirect.com/science/article/abs/pii/S0140673602605896
xxiiiDestruction of life In India By Poisonous Snakes ; Page No: 205; Nature Dec 28, 1882
xxiv ডাক্তার ফ্রায়ারের পরীক্ষাগুলো এখানে সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরা হয়েছে। The Indian Medical Gazette ; Volume:03 ; June 1, 1868; Page No: 124
xxvরমালাসের মেইলটি আমার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। কেউ দেখতে চাইলে তাকে আমার পক্ষ হতে মেইলটি দেখানো সম্ভব।