আমাদের উদ্দেশ্য

Spread the love

 

আসসালামু আলাইকুম

ইথিওপিয়া হতে শুরু করে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ইন্ডিয়া পর্যন্ত আজ সবাই প্রাণী জগতের ব্যাপারে সচেতন হয়ে উঠছে। তারা শিখছে বাস্তুসংস্থানের প্রাণীদের কে না তাড়িয়ে কিভাবে তাদেরকে পাশে রেখে বসবাস করা যায়। এই সচেতনতার স্তর আজ দায়িত্বশীল ব্যক্তি হতে শুরু করে সাধারণ জনগন পর্যন্ত সর্ব পর্যায়ে ক্রমাণ্বয়ে বিস্তৃত হচ্ছে। যে কারণে ইথিওপিয়ার হারারে তে রাতে বন থেকে চলে আসে হায়েনার দল আর তারা পেট পুরে সকালে তাদের আবাসে ফেরত যায়। মোম্বাইতে আজ লেওপার্ড বাঘের ঘনত্ব সব থেকে বেশি। এগুলো কখনোই সম্ভব হত না যদি না প্রাণী জগতের ব্যাপারে সচেতনতা সাধারণদের মধ্যে না আসত।
.
কিন্ত আফসোস করেই বলতে হয়, বাংলাদেশ মুসলিম মেজোরেটি রাষ্ট্র হওয়া সত্ত্বেও এই দেশে ওয়াইল্ড অ্যানিম্যালের উপর যে পরিমাণ অবিচার করা হয় তা আর কোথাও হয় কিনা সন্দেহ৷ প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন প্রাণীকে নৃশংস ভাবে হত্যার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় চলে আসে। মেছো বাঘ, বনবিড়াল এর মত অধরা প্রাণী যার দেখা কালেভদ্রে পাওয়া যায় সেই প্রাণীদের বাঙ্গালি হাতের নাগালে পেলে মেরে হত্যা করে চামড়া ছুলে ঝুলিয়ে রাখার রেকর্ড বাংলাদেশের অনেক প্রত্যন্ত গ্রামেই পাওয়া যায়। ভাবখানা এমন যে এক বিড়াল কে মেরে ঝুলিয়ে রাখলে অন্য বিড়াল তা দেখে ভয় পেয়ে আর কাছেধারেও আসবে না। ভন্ড কবিরাজদের কারণে তক্ষকের মত এক নিরীহ প্রাণীর অস্তিত্বও আজ আর নিরাপদ নেই। শিয়ালের ডাক এখন আর ভয় তৈরি করে না। এ ডাক যেন তাদের আর্তনাদ। আমরা অবিচার করছি আমাদের প্রকৃতির এবং পরিবেশের। আল্লাহ তায়ালার দেওয়া নেয়ামতের এই শুকরিয়া আমরা মেরে পিটিয়ে আদায় করছি। এই পুরো পৃথিবী এক সময় অসচেতন ছিল যার ফলাফল এখন ভোগ করতে হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে অ্যাপেক্স প্রিডেটর তাসমানিয়ান টাইগার কে হারানোর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার বাস্তুসংস্থানের যে অপূর্ণ ক্ষতি হয়ে গিয়েছে তা আর অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব নয়।
.
ইংল্যান্ড থেকে পশমের লোভে চারশত বছর পূর্বে ইঁদুরের মত প্রাণী বেভারের বিলুপ্তি ঘটানো হয়। কিন্ত সাম্প্রতিক সময়ে বেভারের অপূর্ণতা ইংল্যান্ড বুঝতে পেরে আবারো সাউথ ইংল্যান্ডে নতুন করে এ প্রাণীর পরিচয় ঘটানো হয়। বেভার গাছ কেটে নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে।
.
মানুষ তার বুদ্ধিমত্তার দ্বারা হয়তবা একা টিকে থাকতে পারবে। কিন্ত সেই বুদ্ধিমত্তার দাম আর কি রইল যখন সবাই কে তাড়িয়ে সে একাই যখন বসবাস করে। সে তো তখন বুদ্ধিবৃত্তিক ডাকাত হয়ে যায়।
.
তাই মূলত বাংলাভাষীদের মধ্যে বায়োডায়ভার্সাটি এবং প্রাণী জগতের গুরুত্ব বুঝানোর জন্যই এ ওয়েবসাইটের শুরু। সাইট ভিজিটরদের নিকট অনুরোধ রইল এই সাইটের প্রচার প্রসার করা । সাইটের কন্টেন্ট বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করা। এবং সার্বিকভাবে পরামর্শ দান করা। সেটা যেকোন ব্যাপারে হতে পারে। আপনাদের সাহায্যের উপরেই এই কাজের অগ্রগামিতা নির্ভর করছে। সাইটের কন্টেন্ট, ভিডিও, স্ক্রিপ্ট, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক যেকোন ব্যাপারে যে কারো পরামর্শ গুরুত্বের সাথে ইনশাআল্লাহ গ্রহণ করা হবে। আমাদের তথ্য শেয়ারের ব্যাপারে ন্যাচারালিস্ট, রিসার্চার, কনজারভেশনিস্ট, সায়েন্টিস্টদের কথাকেই গুরুত্ব প্রদান করা হবে। তথ্যগত কোন ভুল পেলে আমাদেরকে তা জানালে আমরা কৃতজ্ঞ হব। আমাদের ফেইসবুক পেইজ সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার পেইজেও আপনাদের সম্পৃক্ততা আশা করছি। আমাদের পাশেই থাকুন।

– এডমিন ( সাওয়াবুল্লাহ্ হক)

 

২ thoughts on “আমাদের উদ্দেশ্য

  1. কাওছার
    কাওছার says:

    আলহামদুলিল্লাহ। অনেক ভালো একটা কাজ হাতে নিয়েছেন। আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে এটা আরও আগেই, নেওয়া উচিৎ ছিলো।আপনার কাজের বারাকাহ কামনা করছি।

    1. সাওয়াবুল্লাহ্ হক

      জাযাকাল্লাহু খায়রান আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.